• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
তাপ প্রবাহে বগুড়ার শেরপুরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আলোচনা সভা শেরপুরে বিএনপি থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিলেন চেয়ারম্যান পান্না কাজিপুরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় তালা প্রতীকের সেলিম হোসেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক ড. সাজ্জাদ হায়দারের জন্মদিন আজ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে সেরা কাজিপুরের অন্যরকম বিদ্যানিকেতন সেভেন রিংস্ সিমেন্ট’র হালখাতা ও পূর্ণ মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাজিপুরে জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণা কাজিপুরে জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণা কবিতা কি ও কবিতা লিখার নিয়ম- সাইফুল্লাহ মামুন বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

মারা গেছেন তসলিমা নাসরিন

রিপোর্টারঃ / ১৭১৩ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত হয়েছেঃ মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২

লেখক তসলিমা নাসরিনকে ‘মৃত’ দেখাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

তসলিমা নাসরিনের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে দেখা যায়, তার অ্যাকাউন্টটি ‘রিমেম্বারিং’ করে দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

রিমেম্বারিং মেসেজে ফেসবুক লিখেছে, ‘আমরা আশা করি যারা তসলিমা নাসরিনকে ভালোবাসেন, তারা তাকে স্মরণ ও সম্মানিত করার জন্য তার প্রোফাইল দেখে সান্ত্বনা খুঁজে পাবেন।’কেউ মারা যাবার পর ওই তথ্য যাচাইপূর্বক ব্যবস্থা নেয় ফেসবুক। কিন্তু তসলিমা নাসরিনের ক্ষেত্রে কী ঘটেছে সেটি এখনো স্পষ্ট নয়।

সাধারণত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রিমেম্বারিং করতে হলে একটি ফরম পূরণ করে ফেসবুকের কাছে আবেদন করতে হয়।

এর আগে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) নিজের মৃত্যু নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন তসলিমা। ওই পোস্ট দেওয়ার একদিনের মধ্যেই তাকে ‘মৃত’ দেখাতে শুরু করে ফেসবুক।

ফেসবুক পোস্টে তসলিমা লেখেন, ‘‘আমি চাই আমার মৃত্যুর খবর প্রচার হোক চারদিকে। প্রচার হোক যে আমি আমার মরণোত্তর দেহ দান করেছি হাসপাতালে, বিজ্ঞান গবেষণার কাজে। কিছু অঙ্গ প্রতিস্থাপনে কারও জীবন বাঁচুক। কারও চোখ আলো পাক। প্রচার হোক, কিছু মানুষও যেন প্রেরণা পায় মরণোত্তর দেহ দানে।

অনেকে কবর হোক চান, পুড়ে যাক চান, কেউ কেউ চান তাদের শরীরের পোড়া ছাই প্রিয় কোনো জায়গায় যেন ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কেউ কেউ আশা করেন, তাদের দেহ মমি করে রাখা হোক। কেউ আবার বরফে ডুবিয়ে রাখতে চান, যদি ভবিষ্যতে প্রাণ দেওয়ার পদ্ধতি আবিষ্কার হয়!

অসুখ-বিসুখে আমি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর নির্ভর করি এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত করবো। কোনো প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতে আমার বিন্দুমাত্র বিশ্বাস নেই, ঠিক যেমন বিশ্বাস নেই কোনো কুসংস্কারে। জীবনের একটি মুহূর্তেরও মূল্য অনেক। তাই কোনো মুহূর্তই হেলায় হারাতে চাই না।

মরার পর আমরা কিন্তু কোথাও যাই না। পরকাল বলে কিছু নেই। পুনর্জন্ম বলে কিছু নেই। মৃত্যুতেই জীবনের সমাপ্তি। আমার জীবন আমি সারাজীবন অর্থপূর্ণ করতে চেয়েছি। মৃত্যুটাও চাই অর্থপূর্ণ হোক।’’


এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন