• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
তাপ প্রবাহে বগুড়ার শেরপুরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আলোচনা সভা শেরপুরে বিএনপি থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিলেন চেয়ারম্যান পান্না কাজিপুরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় তালা প্রতীকের সেলিম হোসেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক ড. সাজ্জাদ হায়দারের জন্মদিন আজ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে সেরা কাজিপুরের অন্যরকম বিদ্যানিকেতন সেভেন রিংস্ সিমেন্ট’র হালখাতা ও পূর্ণ মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাজিপুরে জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণা কাজিপুরে জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণা কবিতা কি ও কবিতা লিখার নিয়ম- সাইফুল্লাহ মামুন বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

সখীপুরে বনের জমিতে মাটি কাটায় বেকু জব্দ মাটি ব্যবসায়ী পলাতক

রিপোর্টারঃ / ১২৪৬ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত হয়েছেঃ মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩

সখীপুর প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল :
টাঙ্গাইলের সখীপুরে বনের জমিতে অবৈধ ভাবে মাটি কাটায় একটি বেকু জব্দ করেছ বন বিভাগ। বন কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাটি ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়। সোমবার ২৩ জানুয়ারী দুপুরে উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের খামার চালার পালের বাইদ থেকে বেকু জব্দ করা হয়। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত বেকু মালিকের নাম জানা সম্ভব হয়নি।
এ সময় বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা একে এম আমিনুর রহমান, কচুয়া বিট কর্মকতা রতন চন্দ্র দাস,এম এম চালা ও কচুয়া বিটের কর্মরত বন বিভাগের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা একে এম আমিনুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ বন সম্পদ সংরক্ষণ ও আইনে ওই বেকু জব্দ করা হয়েছে। এখন ওই বেকু মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এখানে উল্লেখ্য যে, সখীপুর উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চল জুড়ে সরকারি বন বিভাগের জায়গা। যার বেশিরভাগ অংশ জুড়েই সরকারী বন বিভাগের বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষের বাগানে সুসজ্জিত। আর এইসব সরকারি বনের কিছু কিছু জায়গায় উঁচু পাহাড়ি টিলা অবস্থিত।আর এইসব লাল মাটির টিলাগুলো থেকে প্রভাবশালী কিছু মাটি ব্যবসায়ী তাদের প্রভাব খাটিয়ে এবং চোরি করে দিন রাত প্রায় চব্বিশ ঘণ্টাই বেকু বসিয়ে মাটি তোলে নিয়ে, প্রায় বিনা বাঁধায় কোটি কোটি টাকার অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।এদিক থেকে সখীপুর বন বিভাগের সবচেয়ে বেশি মাটি চোরি যাচ্ছে হতেয়া রেঞ্জের নলুয়া বিটে পাহাড় কাঞ্চন পুর এলাকা থেকে। সরেজমিন ঘুরে সখীপুরের প্রায় প্রতিটি বিটেই শুষ্ক মৌসুম শুরু হতেই এমনটি অবাদে লক্ষ্য করা গেছে।আর এগুলো পাচার হচ্ছে অবৈধ বড় চাকার ট্রাক্টারের মাধ্যমে,যার বেশিরভাগ চালকই লাইসেন্স বিহীন অনারারি ও অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর। এতে করে মানুষ ও গাড়ি চলাচলের রাস্তাগুলোও মেয়াদের পূর্বেই ভেঙ্গে খানাখন্দের সৃষ্টি করে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। আর প্রায় প্রতিদিন তো সড়ক দুর্ঘটনা একটি কমন বিষয় হয়েই দাঁড়িয়েছে।মাঝে মধ্যে স্থানীয় বন বিভাগের কর্তাদের সাথে লেনদেনের বনিবনা হলে এমন দু-একটি লোকদেখানো অভিযান হলেও,এসব জনদুর্ভোগ ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের বিরুদ্ধে কার্যকরী কোনো স্হায়ী ব্যবস্থা হচ্ছে না অজানা কারণে।এজন্য প্রয়োজন উর্ধ্বতন বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কঠোর নজরদারি।

এ/হ


এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন