• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:০৩ অপরাহ্ন

কাজিপুরে সরকারী নীতিমালা লঙ্ঘন করে সেচ সংযোগ- সংঘাতের আশঙ্কা

রিপোর্টারঃ / ৩০ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত হয়েছেঃ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

এনামুল হক কাজিপুর(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃÑ সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে প্রচলিত সরকারি নীতিমালা বাইরে গিয়ে পানাসি প্রকল্পের অধীনে সেচ সংযোগ প্রদানের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সংযোগ প্রদানের জন্যে প্রয়োজনীয় দূরত্ব বেধে দেয়া থাকলেও এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। বিষয়টি জানতে পেরে কাজিপুর উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের ভূক্তভোগী দুইজন সেচ গ্রহিতা।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০ বছর পূর্বে সরকারি নিয়ম মেনে গান্ধাইল নয়াপাড়া গ্রামের হারুনর রশীদ পানাসি প্রকল্পের পিকে ৬ সেচ সংযোগ এবং একই গ্রামের খোরশেদ আলম এসকে ৪৯ সেচ সংযোগ নিয়ে সেচকাজ পরিচালনা করে আসছেন। সম্প্রতি ওই সেচ এলাকার মধ্যে কালিকাপুর গ্রামের আবুল কালাম নামের একজন পানাসি প্রকল্পের সেচ সংযোগ গ্রহণের আবেদন করেন। আবেদন পেয়ে কাজিপুর পানাসি প্রকল্পের সহকারি প্রকৌশলী তারেক আহম্মেদ নুতন ওই সেচ সংযোগ প্রদানের জন্য ছাড়পত্রের অনুমতি প্রদানের জন্যে পেপার প্রস্তুত করেন এবং উপজেলা সেচ কমিটির সভায় তা পাস হয়। অথচ বিধি মোতাবেক গভীর নলকূপ থেকে ১৭ শ মিটার এবং অগভীর সংযোগ এর ক্ষেত্রে ৮শ মিটারের মধ্যে নতুন করে কোন সংযোগ প্রদানের বিধান নেই। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখে গেছে, ভুক্তভোগী অভিযোগকারিদের গভীর নলকুপের নির্ধারিত এলাকার মধ্যেই নতুন করে সংযোগ বসানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে। ওই সেচ এলাকার নির্ধারিত দূরত্বে আরও দুটি সংযোগ পূর্ব থেকেই রয়েছে। ফলে বৈধ মোট চারটি সংযোগের মাঝখানে নতুন করে নিয়ম ভঙ্গ করে সেচ সংযোগ বসানোর অনুমতি প্রদানে পুরো এলাকায় সেচের জন্যে জমির স্বল্পতায় অচলাবস্তা সৃষ্টির সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। এমনকি যেকোন সময় প্রাণঘাতী সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে বলে বৈধ সেচ সংযোগ গ্রহণকারিগণ দরখাস্তে উল্লেখ করেছেন।

এ বিষয়ে পানাসি প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী তারেক আহম্মেদ বলেন, নূতন বোরিং ও সংযোগের ক্ষেত্রে সরকারী নিয়ম মেনে করা হয়েছে। কোন ব্যত্যয় হয়নি।

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহরাব হোসেন জানান, দরখাস্ত পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।


এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন