বীরমুক্তিযোদ্ধ সৈয়দ শুকুর মাহমুদ
হাজারও বাধা-লাখো প্রতিবন্ধকতা, সর্ব গ্রাসি রাক্ষস আর হায়নাদের রক্ত চক্ষু অতিক্রম করে অনেক রক্তের দামে কিনেছি তোমায়, তুমি আমাদের কাংখিত বিজয়। প্রথম যখন এলে তুমি বাঙ্গালিদের ঘরে লাল শাড়ী পরে, তোমাকে বরণ করে নিতে ¯œান করেছিলে বাঙালির বুকের রক্ত দিয়ে।
ভারত উপ-মহাদেশে বাংলা অঞ্চল সবুজে ঘেরা ঊর্বরা শস্য শ্যামলা হাজারও নদীতে বেষ্টিত পাহাড়ী শীতল ঝর্ণা সুপেয় প্রবাহমান স্রোতধারায় পানীয় জল এত সুন্দর দেখে পৃথিবীতে মানুষ বসবাসের আদিকাল হতে সকলের নজর এ স্থানটির দিকে অনেক পূর্ব হতে’ই। বিদেশী বহু জাতি, বহু গোষ্ঠী এদেশে রাজত্ব করার উদ্দেশ্যে দেশটিকে দখল করে নিয়েছে। কোন কোন শাসকের সময়ে এদেশীয় প্রজাগণ কিছুটা শান্তি পেলেও অধিকাংশ শাসকদের দ্বারা নির্যাতিত এবং শোষিত। এর’ই ধারাবাহিকতায় নবাব আলিয়র্দী খাঁর শাসন আমলে আরাকান রাজ্য ও পর্তুগাল থেকে জলদস্যুদের আক্রমনে বাঙালিরা নির্যাতিত। মারাঠা শাসক ভষ্কর পন্ডিতের সাথেযুদ্ধে নবাবী শাসক গোষ্ঠী পরাজয় বরণ করায় সন্ধিস্থাপন করে এদেশের কর দেয়া হত তাদের। যুবরাজ সিরাজ উদ-দৌলার সেনাপতিতে তার দুঃসাহসিকতায় মারাঠা সৈন্যদের কর বাতিল করে তাদের বিতাড়িত করা হয়। এমতবস্থায় সিরাজউদ- দৌলার সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে নবাব আলিয়র্দী খাঁ প্রিয় দৌহিত্রকে মসনদ-এ-আলা বানিয়ে বাংলা বিহার উড়িষ্যার অধিপতি বানিয়ে দেন। সিরাজউদ- দৌলার শাসন আমলে কিছুটা হলেও বাঙালি জাতি স্বাধীনতার সুফল পেতে শুরু করে। হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের মত অশুভ দমকা হাওয়া এসে তছনছ করে দিয়ে যায় বাঙালি জাতির স্বাধীনতার সে ঘর। জাতীয় বেইমান, বিশ্বাস ঘাতক মীর জাফর ও ঘষেটি বেগমদের ষড়যন্ত্রে ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধে অস্তমিত হয় স্বাধীনতার লাল সূর্যটি। নেমে আসে ভারত উপ-মহাদেশের আকাশে তিমির রাতের গাঢ় অন্ধকার। এ ভূ-খন্ডের রাজত্ব কায়েম করে নেয় ইংরেজ বণিকেরা। প্রায় দু’শ বছর ইংরেজদের দুঃশাসনে উপ-মহাদেশের মানুষ পরাধীনতার গ্লানি মাথায় নিয়ে নির্যাতনে দিশেহারা। এর মাঝে বার বার আন্দোলন করে জীবন দিয়েছে কত মানুষ তাদের অনেকের’ই নাম ইতিহাসে নেই। ভারত উপ-মহাদেশের প্রথম রাজনৈতিক দল জাতীয় কংগ্রেস পার্টি ও মুসলিম লীগ এর যৌথ সংগ্রামে ব্রিটিশ শাসকের মুল স্তম্ভ নড়বড়ে হয়ে যায় যার প্রেক্ষিতে ১৯৪৭ খ্রি: ১৪ই আগস্ট পাকিস্তান নামক একটি দেশের জন্ম হয়। এটিকে স্বাধীনতা বলে উল্লেখ করা হলেও বাঙালি জাতি পরাধীন’ই রয়ে যায়। একই সময়ে ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা অর্জিত হয় ভারতের। ততকালীন রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগের নেতৃত্বে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলো পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান নামে পৃথক দু’টি ভূখন্ড। পাকিস্তান হয় ততকালীন পূর্ব পাকিস্তান বর্তমান বাংলাদেশ এ ভূখন্ডে শুধুমাত্র বাঙালি জাতির বসবাস। পাকিস্তান স্বাধীনতার পর হতে’ই পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালিদের বৈমাত্রীয় ভ্রাতাসূলভ আচরণ করে আসছিলো। তাদের ষড়যন্ত্রের মূলসূত্র ছিলো পূর্ব পাকিস্তান শোষণ করা এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা উর্দু করা। এ প্রস্তাবে বাঙালিরা বিরোধীতা করায় ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী (৮ই ফাল্গুন) ছাত্র জনতার মিছিলে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে হত্যা করে অসংখ্য বাঙালি ভাষা সৈনিকদের।
রাজনৈতি প্রসঙ্গ নিয়ে একটু পিছিয়ে গেলে দেখা যায় যে, ভারত উপ-মহাদেশে ‘ব্রিটিশ হটাও, জাতি বাঁচাও’ আন্দোলনে জাতীয় কংগ্রেস পার্টিতে সর্বজন অংশগ্রহণ করলেও এ রাজনৈতিক দলটিতে হিন্দু প্রাধান্য থাকায় মুসলামগণ নেতৃত্বে পিছিয়ে ছিল। ফলে ১৯০৬ খ্রি: ভারত উপ-মহাদেশের পূর্ব বাংলায় অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রিক আরেকটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। নবাব স্যার সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে মুসলিমলীগ নামে রাজনৈতিক দলটির নামকরণ করা হয়। এ দলটিও সমগ্র ভারত উপমহাদেশে প্রভাব বিস্তার করেছিল। দলটিতে পশ্চিমাদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা থাকায় মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী দলটির আরেকটি অঙ্গ সংগঠন সৃষ্টি করেন- যার নামকরণ করা হয় ‘আওয়ামী মুসলীমলীগ’। এতেও ততটা সুবিধা অর্জন করতে না পারায় শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক দলের নামকরণ করেন। মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে আওয়ামীলীগ নামে রাজনৈতিক সংগঠন শুরু করেন। শেখ মুজিবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের সংগ্রামে আজ স্বাধীন বাংলাদেশ। তারপর থেকে বিভিন্ন সময়ে বাঙালিদের স্বাধীকার আন্দোলন বেগবান হতে থাকে। ১৯৬৯ এ গণঅভ্যুত্থান। ১৯৭০ সালের ৭ই ডিসেম্বর হতে ১৭ই জানুয়ারী ৭১ পর্যন্ত সাধারণ নির্বাচন হয়। এতে পূর্ব পাকিস্তানের ভোটারগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দল আওয়ামীলীগকে বিজয়ী করে। গণপরিষদে পূর্বপাকিস্তানে ১৬৮টি আসনের মধ্যে ১৬০টি আসনে জয় লাভ করে আওয়ামীলীগ এবং ১৯৭১ সালের ১৭ই জানুয়ারী প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়। তখন জাতীয় পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ছিল মনোনিত সংরক্ষিত ১৩টি মহিলা আসনসহ ৩১৩টি। তার মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য ছিল ৭টি মহিলা আসন সহ ১৬৯টি। আওয়ামীলীগ ১৬৭টি আসনে জয় লাভ করে।
পশ্চিম পাকিস্তানের জুলফিকার আলী ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পিপুলস পার্টি ৪টি মহিলা আসনসহ ৮৮টি আসনে জয় লাভ করে। অন্যন্য সব দল মিলে ৫৮টি আসন পায়। সাধারণ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলাম ও মুসলিমলীগ আওয়ামীলীগের বিপক্ষে নির্বাচন করেছিল। এদেশের মানুষ জানতে পেরেছিল, জামায়াতে ইসলাম মাওলানা মওদুদীবাদী ও পশ্চিম পাকিস্তানের দালাল। সে কারণে জামায়াতে ইসলামীর একজন প্রার্থীও নির্বাচিত হতে পারেনি। গণতন্ত্রের নিয়মানুযায়ী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়ায় তদানীন্তন পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের দায়িত্ব ছিল সরকার গঠনের জন্য আওয়ামীলীগকে আহ্বান জানানো। কিন্তু প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান বাঙালিদের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা দিতে রাজি ছিলেন না। কুখ্যাত বিহারী শাসক ষড়যন্ত্র শুরু করে। ১৭ই জানুয়ারী পাখি শিকারের কথা বলে ইয়াহিয়া খান, জুলফিকার আলী ভুট্টো ও অন্যান্য জেনারেলদের নিয়ে লারকানায় ভুট্টোর বাসায় একত্রিত হয়ে বাঙালিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীল নকশা তৈরী করে। তাই ইয়াহিয়া খান তালবাহানা করে সময় কাটাতে লাগলো। আর বাঙালিদের হত্যা করে হলেও সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের ষড়যন্ত্র করতে থাকে। ৩ জানুয়ারী ১৯৭১ রবিবার রমনা রেসকোর্স ময়দানে জাতির জনকের ডান পার্শ্বে ১৫১ জন আওয়ামীলীগ দলীয় সদস্য (এম.পি.এ) কে গণ মহাসাগরের সম্মুখে দাঁড় করাইয়া নিজে শপথ বাক্য পাঠ করান। ১৯৭১ সালের ১লা মার্চ জাতির জনকের অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। ২ মার্চ কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সংসদের আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত সকল সদস্য শেখ মুজিবকে যেকোন সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ গ্রহণ করার পূর্ণ অধিকার দেয়। ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবণের পশ্চিম ফটকে প্রথম বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত জাতীয় পাতাকা উত্তোলন করেছিলেন ডাকসু নেতা আ.স.ম আব্দুর রব। ১১ জানুয়ারী ইয়াহিয়া ঢাকায় আগমন করে বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনা শুরু করে। ১৪ ফেব্রুয়ারী বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামীলীগ পার্লামেন্টারী পার্টির নেতা নির্বাচন করা হয়। বঙ্গবন্ধু ঢাকা এবং সারাদেশে ৫ দিনের জন্য হরতাল ও অনির্দিষ্ট কালের জন্য অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলেন। তার মুখের একটি কথায় সারা পূর্ব পাকিস্তান অচল হয়ে যায়। অবস্থা আয়ত্বে আনার জন্য পাক হানাদারেরা কারফিউ দিয়েছিল। ছাত্র-জনতা কারফিউ ভেঙ্গে দলে দলে পথে নেমে এল।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সংখ্যা গরিষ্ঠতা হওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ পুরো পাকিস্তানে সরকার গঠনে প্রস্তুতি নিতে থাকে, তখনো পাকিস্তানকে অক্ষুন্ন রেখে রাষ্ট্র পরিচালনার পরিকল্পনা’ই ছিলো আওয়ামীলীগের। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল দেখে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী খেপা কুকুরের মত এদিক সেদিক কামড়াতে শুরু করে। পৃথিবীর মানচিত্র থেকে বৃহত্তর পাকিস্তান ভাঙ্গার জন্য এক মাত্র দায়ী জেনারেল ইয়াহিয়া খান। গণভোট বানচাল করার নানামুখি ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে আওয়ামীলীগ সংগঠন পাকিস্তানকে অক্ষুন্ন রাখার পরিকল্পনা ছেড়ে স্বাধীনতার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। এর ফলশ্রুতিতে ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে ছাত্রলীগের জনসভায় পাকিস্তানী জাতীয় সংগীত বাদ দিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “আমার সোনার বাংলা” গানটি নির্বাচিত করা হয়। কেন্দ্রের সাথে মিল রেখে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ৭ মার্চ তৎকালীন ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) রেসকোর্সের প্রান্তদেশে ওয়্যারলেস হাতে পাকিস্তানেরপ্রধান সেনাপতি জেনারেল আব্দুল হামিদ খানের উপস্থিতিতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯ মিনিটে বাঙালিকে অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত করতে ঐতিহাসিক ভাষনে ঘোষণা করলেন, ‘তোমাদের কাছে অনুরোধ রইল প্রত্যেকে ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে- আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সেদিনের বঙ্গবন্ধুর সে ভাষণ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা হয়ে গেল।
এ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা জেনারেল ইয়াহিয়া খান জেনারেল টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর নিযুক্ত করে সামরিক শাসনের মধ্য দিয়ে শুরু করে বাঙালি জাতির উপর নির্যাতনের স্ট্রীমরোলার। অন্যদিকে জেনারেল ইয়াহিয়া খান আলোচনার অভিনয়ে প্রহসনমূলক অপকৌশলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। এরপর বিভিন্নভাবে তাকে হত্যার অপচেষ্টা করে এবং তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। জেনারেল টিক্কা খানকে হুকুম দেয়া হয়েছিলো যেকোন মূল্যে পূর্ব পাকিস্তানের দখলদারিত্ব টিকিয়ে রাখতে। শুধু ইয়াহিয়া এবং টিক্কা’ই নয় তাদের সাথে যোগসাজশ ছিলো পূর্ব পাকিস্তানি মুসলিমলীগ ও জামায়াত ইসলামীরাসহ ইসলামী সকল সংগঠন তাদের সাথে নৈরাজ্যপূর্ন কাজে লেগে গেলো। তারা স্বাধীনতা সংগ্রামের শত্রু, পুরোপুরি স্বাধীনতার বিরোধীতা করতে শুরু করে।
দখলদার শাসক গোষ্ঠী ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে যে কালো অধ্যয় রচনা করেছিলো তা পৃথিবীর কোন দেশে’ই এমন হত্যা যজ্ঞ্য ঘটেনি। তাদের অপকর্মের নাম ছিলো ‘অপরেশান সার্চলাইট’। যার মাধ্যমে এক নারকীয় হত্যাকান্ড শুরু করেছিলো। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠির দোসর হয়ে এ দেশীয় মুসলিম লীগ আর জামায়াতী ইসলামীরা স্বাধীনতা সংগ্রামে বিরোধীতা করতে থাকে। শুধু তাই নয়, দালালদের উস্কানীতে অগ্নি সংযোগ, জ্বালাও পোড়াও, লুটপাট, হত্যা সহ নারী নির্যাতন-নারী ধর্ষণে মেতে উঠেছিল। পাকিস্তান বাহিনীদের তান্ডবের হাতিয়ার হিসেবে ঢাকা শহরে সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর অস্ত্র ব্যবহার করে নারী ও শিশু সহ হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ হত্যা করেছিলো এদেশের জনতাকে দাবিয়ে রাখতে। কিন্তু থেমে যায়নি বীর বাঙ্গালি। দীর্ঘ ন’মাসের যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ বাঙালির লাশ পরে। তাদের রক্তে নদীপথে প্রবাহিত হয়েছে রক্তের ধারা। বাঙালির বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। কোন খেলাঘর থেকে উঠে আসেনি এ বিজয়। প্রকৃতপক্ষে রক্তের দামেই কেনা এ বিজয়।
লেখক-কথাসাহিত্যিক ও কলামিষ্ট। শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ, আলাপচারিতা- ০১৭৮২-৪৫৭৭৮৩।