• রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
যাচাই-বাছাইয়ে আটকে গেল রাঙ্গার মনোনর্য়ন কবি ফররুখ স্মৃতি পুরস্কারে ভূষিত কথাসাহিত্যিক বুলবুল সরওয়ার সিরাজগঞ্জে দরিদ্র চক্ষু রোগীদের বিনামূল্যে চক্ষু ক্যাম অনুষ্ঠিত বাবার স্বপ্নপূরণে জনপ্রতিনিধি হওয়ার চেষ্টা করে আসছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল বেপারী কাজিপুরে সাবেক মেয়র ও প্যানেল মেয়রকে মারপিটের ঘটনায় বহিস্কার দুই ধামরাই স্লোটেক্স গার্মেন্টস শ্রমিকে পিটিয়ে হাসপাতালে ভর্তি বগুড়া-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে অপহরণ করলেন আওয়ামীলীগ নেতারা কাজিপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন সংসদ সদস্য জয় গোপালগঞ্জ-৩ আসনে শেখ হাসিনার মনোনয়নপত্র দাখিল

রায়গঞ্জে গ্রাহকের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা নিয়ে উধাও জাগো ফাউন্ডেশন

রিপোর্টারঃ / ১৫৭ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত হয়েছেঃ শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৩

সুরনজিত সরকার, রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) বিশেষ প্রতিনিধি :

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে জাগো ফাউন্ডেশন নামের একটি ভুয়া এনজিও ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি  দিয়ে  গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ চক্রের ফাদে পরে অর্থ হারিয়েছে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার। রায়গঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীর, আলম, সায়েম, আরিফ, হাফিজুর রজমান, এনামুল হক সহ অসংখ্য ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, এনজিওটি সম্প্রতি রায়গঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব লক্ষীকোলা বাজারে একটি বাসা ভাড়া নেয়। এরপর ব্যবসায়ীদের ঋণ সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলে জামানত হিসাবে বা সঞ্চয় হিসাবে প্রায় ২শতাধিক ব্যক্তির থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।

তবে এনজিওটির ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি শাহিদ নামে একটি ভিজিটিং কার্ড দেন।আসলে ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের আসল পরিচয় কি সেটাও নিশ্চিত নন কেউ। ঋণ বিতরণের দিন ঘনিয়ে এলে সংস্থার লোকজন রোববার (২২ জানুয়ারি) অফিস ফেলে পালিয়ে যায়। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) প্রায় দুই শতাধিক গ্রাহক ঋণ নিতে এসে রায়গঞ্জ শাখা অফিস পূর্ব লক্ষীকোলা বাজার এলাকার শফিকুল ইসলামের বাসার সামনে ভিড় করতে থাকে। কিন্তু অফিসে কাউকে পাওয়া যায়নি। বাসার মালিক শফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার দিবাগত রাত থেকে তাদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে বাসা মালিক ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বা এনজিওটির কোন কর্মকর্তার ভোটার আইডি কার্ড না নিয়েই ও নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে মৌখিক ৩ লক্ষ টাকা চুক্তিপত্র করে বাসাটি ভাড়া দেন।

গ্রাহকরা এনজিওটির বিষয়ে বাসা মালিকের নিকট পূর্বে তথ্য নিতে গেলে তিনি এনজিওটির সুমান করে বলেন এটা আমার পূর্ব পরিচিত ও বিশ্বস্ত একটি প্রতিষ্ঠান। সামাজিক ব্যক্তিত্বরা বলছে ভূয়া এই এনজিও কর্মকর্তারা আসলে প্রতারক চক্রের সদস্য। তাদের দেওয়া সকল ফোন নাম্বার বন্ধ আছে। প্রতারকরা অনেক সময় ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করে পালিয়ে যায়। অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মো. এনামুল হক, মো.রফিকুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। থানায় অভিযোগকারি ভুক্তভোগী এনামুল হক জানান, জাগো ফাউন্ডেশন এর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে এবং উপজেলার পূর্ব লক্ষীকোলা এলাকার আলমের বসতবাড়ি অফিসের ঠিকানা দিয়ে আমাকে ৬ লক্ষ টাকা লোন দেওয়ার শর্তে ৬৬ হাজার টাকা নেয়। পরে লোন দেওয়ার সময় হলে আমি অফিসে গেলে তাদের কাওকে অফিসে পাইনি।এমন ঘটনা ভুয়া এই চক্রটি অনেকের সাথে ঘটিয়েছে। আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠান জানান, এনজিওটি আমাদের পৌরসভা থেকে কোন  প্রকার ট্রেড লাইসেন্স নেই নি এবং কোন এনজিও বা প্রতিষ্ঠানকে যদি কেউ ঘরভাড়া দেন তাহলে পৌরসভাকে সেটা অবগত করতে হয় কিন্তু আমার কাছে এ বিষয়ে কোন কিছু জানাইনি বাসার মালিক শফিকুল ইসলাম। রায়গঞ্জ থানার ওসি আসিফ মোহাম্মাদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগীরা জাগো ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মন্ডল বলেন,ভুয়া এই ফাউন্ডেশন সম্পর্কে আমি শুনেছি। অনেকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাওয়ায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি থানা পুলিশ দেখছেন। তিনি আরো বলেন, একজন বাড়ির মালিক যদি কোন বাড়ি ভাড়া দেন তাহলে অবশ্যই তাকে ভোটার আইডি কার্ড ও চুক্তি পত্র করে তাকে ঘর ভাড়া দিতে হবে।আর এনজিও প্রতিষ্ঠানের জন্য অবশ্যই প্রয়োজনিয় কাগজপত্রসহ উপজেলা প্রশাসনের নিকট যোগাযোগ করতে হবে। এই ফাউন্ডেশনের কোন কর্মচারি কর্মকর্তা আমাদের কাছে আসেন নি।


এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন