ইলিয়াস কাশেম, সখিপুর প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল :
ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করার কারণে মেয়ের মা রাশেদা খাতুন সহ তার পরিবারের সদস্যদের পিটিয়ে আহত করেছে বখাটে সাইফুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলার ১ নং কাকরাজান ইউনিয়নের বুড়িচালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাশেদা খাতুন এর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,আহত রাশেদা বেগমের মেয়ে সোমা পার্শ্ববর্তী মাহমুদনগর মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সে মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় সাইফুল (১৮) পিতা মোঃ সবুর আলী সোমাকে প্রায়ই নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত। তার পথ রোধ করে বিভিন্ন অশালীন প্রস্তাব দিত। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সাইফুল রাস্তা অবরোধ করত। রাস্তার পাশে গাছে উঠে তার ছবি উঠাতো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সোমাকে নিয়ে নানা অশালীন মন্তব্য করতো এবং সাইফুল তার ফেসবুক প্রোফাইলে সাইফুল প্লাস সোমা (মেয়ের) নাম লিখে বিভিন্ন ধরনের অশালীন মন্তব্য পোস্ট করতো। এ বিষয়ের সোমা তার বাবা-মাকে জানালে মেয়ের বাবা-মা এলাকার মাতাব্বরদের জানায়। মাতাব্বরগণ এ বিষয়ে সাইফুল ও তার পরিবারবর্গকে জানালে সাইফুল আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে, সোমার মা ভয় পেয়ে মেয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে সোমাকে নানার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এতে সাইফুল আরো অধিক ক্ষিপ্ত হয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর পোস্ট করতে থাকে। এ নিয়ে সোমার ভাই রাসেল প্রতিবাদ করলে ২২-১- ২০২৩ ইং আনুমানিক রাত আটটার দিকে সাইফুল তার সঙ্গীয় সন্ত্রাসী বাহিনীসহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভুক্তভোগী অসহায় সোমার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা করে।এতে সোমার বাবা মা ও ভাই গুরুতর আহত হন।এসময় রামদায়ের এলোপাতাড়ি কূপে সোমার মা রাশেদা বেগম গুরুতর আহত হন। বাড়িতে চিৎকার ও কান্নাকাটির আওয়াজ পেয়ে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সাইফুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে দ্রুত পালিয়ে যায়। আশেপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে সখীপুর থানা এবং পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। অধিক রক্তক্ষরনের কারণে আহত রাশেদা বেগমের অবস্থার অবনতি হলে,জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রাশেদা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন। এ বিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব (ও,সি) রেজাউল করিম বলেন,বাদী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কারণ আমরা সবসময় ইভটিজিং,মাদক ও সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে মোকাবেলা করে থাকি। আর এটাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়ের অধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ পুলিশের প্রতি।
এ/হ