যশোর প্রতিনিধি :
নড়াইলের লোহাগড়ার কালনা পয়েন্টে মধুমতি সেতু উদ্বোধনের পর যশোর-ঢাকা রুটের দূরত্ব কম হওয়ায় যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন যশোর- টাকার যাত্রীরা। মধুমতি সেতু চালু কারণে যশোর-ঢাকার দূরত্ব কমেছে ১১৩ কিলোমিটার। তবে এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের অভিযোগ দূরত্ব কমলেও কমেনি ভাড়া। এ রুটে চলাচলকারী প্রতিটি পরিবহন পূর্বের ভাড়াই আদায় করে যাচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং পরিবহন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রথম ছয় লেনের মধুমতি সেতু চালু হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে যশোর হয়ে ঢাকাগামী পরিবহন মাগুরা-ফরিদপুর হয়ে যাতায়াতের পরিবর্তে কালনা হয়ে যাতায়াত করছে। এতে মধুমতি সেতু দিয়ে যশোর থেকে রাজধানীর দূরত্ব কমেছে ১১৩ কিলোমিটার। সরকার নির্ধারিত দূরপাল্লার বাসে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ২ দশমিক ১৫ টাকা হলে এ রুটে বাসের ভাড়া হবে ৩৬৩ টাকা। সরজমিনে যশোর শহরের মনিহার, নিউমার্কেট, গাড়িখানায় অবস্থিত বেশ কয়েকটি কাউন্টার ঘুরে জানা যায়, আগে ফেরি পার হয়ে বা যশোর-মাগুরা-ফরিদপুর হয়ে ঢাকা যেতে জন প্রতি যাত্রীকে ভাড়া গুনতে হতো ৬৫০ টাকা করে। বর্তমানে যশোর থেকে নড়াইল হয়ে মধুমতি সেতু ও পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় যেতে সময় লাগছে মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। সময় এবং দূরত্ব উভয় কমলেও এ রুটে কমেনি বাসের ভাড়া। সোহাগ পরিবহন, হানিফ পরিবহন, হামদার্ন এক্সপ্রেস, ঈগলসহ প্রায় সকল কোম্পানির পরিবহন এ রুটে ৬৫০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে।
যশোর থেকে ঢাকাগামী রশিদ নামে এক যাত্রী বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে যশোর-মাগুরা-ঢাকা রুটে ৬৫০ টাকা নেয়া হচ্ছিল। মধুমতি সেতু চালু হওয়ায় ১১৩ কিলোমিটার রাস্তা কমলেও ভাড়ার কোন পরিবর্তন হয়নি। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি, ঈগল পরিবহনের সত্ত্বাধিকারী পবিত্র কাপুড়িয়া বলেন, যশোর-ঢাকা রুটে পূর্বের ভাড়া ৬৫০ টাকাই নেয়া হচ্ছে। এটি সরকার নির্ধারিত।
এ/হ