ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা :
র্যাব-১২, পাবনার কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মবিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেফতাররা হলেন- ঈশ্বরদী পৌরসভার শৈলপাড়া গ্রামের মৃত নূর উদ্দিন ছেলে কামাল উদ্দিন (৪৮) ও জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. হৃদয় (২৪)। এক নম্বর আসামি কামাল উদ্দিন ঈশ্বরদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। তিনি মামুন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।র্যাব জানায়, গত বুধবার রাত ৮,৪০মিনিটের সময় ঈশ্বরদী পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় একটি ভটভটি গাড়ির সঙ্গে মালবাহী পিকআপের ধাক্কা লাগে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিত-ার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে পিকআপ ভ্যানের ড্রাইভারের পক্ষ হয়ে কামাল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, মো. হৃদয়, মো. ইব্রাহিমসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন ওই এলাকায় ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। এ ঘটনার সময় রিকশাচালক মামুন হোসেনকে (২০) উদ্দেশ্য করে গুলি করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই রিকশাচালক মামুন মারা যান ও অপর দুজন আহত হন। ঈশ্বরদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি কামাল হোসেন এবং তার ভাই আনোয়ার হোসেনসহ চারজনকে নামীয় আসামি করা হয়। এছাড়া ৩-৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। র্যাব-১২, জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর থেকে বিভিন্ন সময় কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো. তৌহিদুল মবিন খান ও স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি কিশোর রায়ের নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা অভিযান
চালায়। তারা ঈশ্বরদী পৌরসভার শৈলপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতদের ঈশ্বরদী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।উল্লেখ্য বুধবার রাতে ঈশ্বরদী ইপিজেড সড়কে একটি ভটভটি ও লেগুনা গাড়ির মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। লেগুনার চালক জরিমানা দাবি করেন ভটভটি চালকের কাছে। এ নিয়ে দুই গাড়ির চালক ও যাত্রীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এর কিছুক্ষণ পর ১নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন ও তার ভাই আনোয়ার হোসেন সহযোগীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভটভটি চালকের কাছ থেকে জরিমানা নিতে বাধা দেওয়া হলো কেন এমন প্রশ্ন তুলে স্থানীয়দের ওপর চড়াও হন। এছাড়া সঙ্গে থাকা আনোয়ারের সঙ্গীরা সুমনকে ছুরিকাঘাত ও গোলাগুলি করে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিকশাচালক গুলিবিদ্ধ মামুনকে মৃত ঘোষণা করে বলে জানা যায়।