কামরুল হাসান, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার শিবগঞ্জে সিরাজুন বেওয়ার জীবন চলে চুম্বক দিয়ে লোহা কুড়িয়ে। তাকে দেখার কেউ নেই। সিরাজুন বেওয়া প্রতিদিন কেউ ঘুম থেকে উঠার আগেই ঘুমের বিছানা ত্যাগ করে সকাল সকাল তার বাড়ী চাঁদনিয়া শিবগঞ্জ থেকে পৌর এলাকার সোনালী ব্যাংক মোড় পর্যন্ত রাস্তার ডান পাশ দিয়ে চম্বক (ম্যাগনেসিয়াম পাথর, যা বিশেষ আকর্ষণ ক্ষমতা সম্পন্ন) এর চাকার সাথে দরি লাগিয়ে লোহা কুড়াতে কুড়াতে রাস্তার বাম পাশ দিয়ে চাঁদনিয়া শিবগঞ্জ বাড়ীতে ফিরে আসতে যে টুকু লোহা মিলে তা সে বাজারে বিক্রিকরে কিছু অর্থ হাতে পায়। এ অর্থ দিয়ে দৈনিক তার ঘরের চাল- ডালের ব্যাবস্থা করে নেয় সে। এব্যাপারে তার সাথে একান্ত আলাপ করে জানা যায়, তিনি উপজেলার শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চাঁদনিয়া গ্রামের মৃত্যু নুর ইসলামের স্ত্রী এবং শিবগঞ্জ থানার পূর্বপার্শ্বে মান্নার হোটেলের মেসিয়ার সাব্বির এর মা। তার স্বামী নুর ইসলাম সাব্বিরকে ৭ বছর বয়স রেখে মারা যান। আর তখন থেকেই সিরাজুন বেওয়ার সংসার চলে অতি কষ্টে। ধিরে ধিরে বড় হয় সাব্বির সাব্বির বড় হয়ে বিয়ে শাদী করে সংসারে আলাদা হয়ে জীবন যাপন শুরু করে। সিরাজুন বেওয়া হয়ে য়ায় একলা। আর একলা জীবন সংগ্রামে বেচেঁ থাকার জন্য এক মাত্র পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন বাড়ী থেকে সোনালী ব্যাংক পর্যন্ত রাস্তার দু- পাশে পড়ে থাকা লোহা ও লোহা জাতীয় বস্তু চুম্বক দিয়ে সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে কোনমত জীবন নির্বাহ করা। তিনি আরো বলেন, আমার সন্তান থেকেও সন্তান নেই, সন্তান আমাকে কোন ভরণ পোষণ দেয় না, আমি সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা পাই না। তাই আমি দির্ঘ ১০ বছর ধরে এভাবেই চুম্বক দিয়ে লোহা কুড়িয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে কোনমত বেচেঁ আছি।
এ/হ