• রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
যাচাই-বাছাইয়ে আটকে গেল রাঙ্গার মনোনর্য়ন কবি ফররুখ স্মৃতি পুরস্কারে ভূষিত কথাসাহিত্যিক বুলবুল সরওয়ার সিরাজগঞ্জে দরিদ্র চক্ষু রোগীদের বিনামূল্যে চক্ষু ক্যাম অনুষ্ঠিত বাবার স্বপ্নপূরণে জনপ্রতিনিধি হওয়ার চেষ্টা করে আসছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল বেপারী কাজিপুরে সাবেক মেয়র ও প্যানেল মেয়রকে মারপিটের ঘটনায় বহিস্কার দুই ধামরাই স্লোটেক্স গার্মেন্টস শ্রমিকে পিটিয়ে হাসপাতালে ভর্তি বগুড়া-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে অপহরণ করলেন আওয়ামীলীগ নেতারা কাজিপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন সংসদ সদস্য জয় গোপালগঞ্জ-৩ আসনে শেখ হাসিনার মনোনয়নপত্র দাখিল

উল্লাপাড়ায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মহিলাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের আটক ১

রিপোর্টারঃ / ১৫৮ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত হয়েছেঃ মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৩

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আছমা খাতুন নামের একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগে মহির (৩৫) নামের একজনকে আটক করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পূর্নিমাগাঁতী ইউনিয়নের ফলিয়া পূর্ব পাড়া গ্রামে। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফলিয়া পূর্ব পাড়া গ্রামের আবু বক্কর প্রামাণিকের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে আছমা খাতুন দরিদ্র পরিবারের স্বামী পরিত্যক্ত একজন মহিলা। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঝিইয়ের কাজ করে তার দুটি সন্তান নিয়ে পুঠিয়া বাজারের একটি ঝুপড়ি ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল। বুধবার সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটের দিকে পূর্নিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ আব্দুর রউফের স-মিলের শ্রমিক মহির আছমা খাতুনকে তার ভাড়া বাড়িতে এসে আব্দুর রউফ মেম্বার তোমাকে কার্ড করে দিবে বলে জানান। লম্পট মহিরের কথা বিশ্বাস করে মেম্বারের সাথে দেখা করতে রওনা দেন। কিছু দুর যাওয়ার পড়ে কাজী সাহেবের পুকুরের পাশে নিয়ে তার মুখ চেপে ধরে হাত, পা বেধে ফেলে আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে এবং বলে কাউকে কিছু বললে জানে মেরে ফেলবো এই বলে মহির আমাকে ধর্ষণ করে, এরপর একে একে আরো অনেক জন সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে আমাকে ফেলে চলে যায়। আমি অনেক কষ্ট করে বাড়িতে ফিরে আসি। বাবা, মা,জানলে বকাবকি করবে ভেবে কাউকে কিছু বলতে পারিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আছমা খাতুনের ছোট ভাই পুঠিয়া বাজারে গিয়ে লোকজনের কাছে জানতে পারে যে তার বোনকে রাত্রিতে মহিরসহ আরো অনেক জন মিলে ধর্ষণ করেছে। বাড়িতে এসে আছমা খাতুনকে জিজ্ঞেস করলে আছমা খাতুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। শুক্রবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল ইসলাম তপন ও মেম্বার মোঃ আব্দুর রউফের কাছে বিচার চাইতে গেলে, আছমা খাতুনের পরিবারকে সুষ্ঠু বিচার দেওয়া হবে বলে, মামলা করতে নিষেধ করেন। ঘটনার ২দিন পার হয়ে গেলে বিচার না পেয়ে শনিবার উল্লাপাড়া মডেল থানায় মামলা করতে গেলে আবারও রউফ মেম্বার তাদের সুষ্ঠু বিচার দেওয়া হবে বলে ফিরিয়ে আনেন। রবিবার সরেজমিন ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে এসে ভুক্তভোগীর জবানবন্দি নিয়ে অভিযান চালিয়ে মহিরকে আটক করে পুলিশ। ভুক্তভোগীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তার মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। এব্যাপারে উল্লাপাড়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক জানান ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। মহিরকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ/হ


এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন