রাকিবুল হাসান, শেরপুর প্রতিনিধি :
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার কৃষকেরা বৈরী আবহাওয়ার কারনে সবজী সব ধরনের উৎপাদিত ফসল ক্ষতির মূখে পরেছে। প্রায় গত ১০ দিন যাবৎ ঘন কুয়াশার কারনে উৎপাদিত নানা জাতের সবজী নষ্ট হতে শুরু করেছে। তাই কৃষকেরা উৎপাদিত সবজী গুলি ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে বাজার জাত শুরু করেছে। চাহিদার চেয়ে বেশি পরিমানের সবজীর বাজারে আমদানি হওয়ার কারনে সবজীর মূল্য ব্যপক ভাবে হ্রাস পেয়েছে। কারন একজুগে সকল কৃষকের সকল ধরনের সবজী বাজার জাত করায় সবজীর দাম একেবারে কমে যাওয়ায় কৃষকেরা ক্ষতির মূখে পরেছে। জানা গেছে গত ১ সপ্তাহ পূর্বে সবজীর মূল্য যা ছিলো তার চেয়ে অর্ধেকেরও নিচে চলে এসেছে সবজীর বাজর। এতে কৃষকের লাভের পরিবর্তে লোকসান গুনতে হচ্ছে। ২ সপ্তাহ পূর্বে সবজির বাজার ছিল যথাক্রমে প্রতিটি লাউ বিক্রি হতো ৪০/৫০ টাকা এখন ২০/৩০ টাকা , প্রতি কেজি সিম ছিল ৫০/৬০ টাকা এখন ২০/২৫ টাকা , পেঁপে ছিল প্রতি কেজি ২৫/৩০ টাকা এখন ১০/১৫ টাকা , বেগুন ছিল প্রতি কেজি ৪০/৫০ টাকা এখন ১৫/২০ টাকা , প্রতি কেজি ফুল-কপি ছিল ৫০/৬০ টাকা এখন ১৫/২০ টাকা , গাজর প্রতি কেজি ছিল ৫০/৬০ টাকা এখন ২৫/৩০ টাকা , টমেটো প্রতি কেজি ছিল ৭০/৮০ টাকা এখন ৩০/৪০ টাকা , অন্যান্য শাক-সবজী আরো অনেক কম মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে কৃষকের উৎপাদনের খরচের টাকা উঠবেনা সবজি বিক্রি করে। হঠাৎ এই প্রতিকূল বৈরী আবহাওয়ার কারনে সব ধরনের সবজী সহ প্রায় উঠতি ফসল সরিষাতেও ব্যপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বছর অত্র এলাকায় সবজী ও সরিষার চাষ করেছে। সবজী, সরিষা ও বোর বীজতলার চারা (জ¦ালা) হয়ে ছিলোও ভালো কিন্তু হঠাৎ এই প্রাকৃতিক দূর্যোগ আবহাওয়া ঘন কুয়াশায় দীর্ঘ সময় থাকার কারনে সকল প্রকার কৃষি ফসলের উপরে প্রভাব পরেছে। এতে ক্ষতির মূখে পরেছে অত্র অঞ্চলের দরিদ্র ও প্রন্তিক চাষিরা। প্রকাশ থাকে যে অত্র অঞ্চলের অধিকাংশ লোক কৃষি ফসলের উপর নির্ভরশীল। অধিকাংশ কৃষকের অল্প জমি থাকার কারনে শুধু মাত্র ধান চাষ করে তাদের বছরের খাদ্যের চাহিদা পূরন হয় না। তাই দরিদ্র চাষিরা অল্প জমিতে অধিক আয়ের জন্য নানা জাতের সবজী চাষ করে থাকে। তাই এই এলাকার কৃষকরা নানা জাতের সবজী চাষ করে ধানের চেয়ে অনেক বেশি আয় করে থাকে। উৎপাদিত সবজী বিক্রি করে তাদের পরিবার পরিজনের খাদ্য চাহিদা সহ অন্যান্য চাহিদাও পূর্ণ হয় এই সবজী বিক্রির আয় থেকে। তাই অত্র এলাকার দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা ১২ মাস নানা জাতের সবজী চাষ করে থাকে। যা এলাকর চাহিদা মিটিয়ে দেশের অভ্যান্তরিন চাহিদায় যুগান্তকারী ভূমিকা রেখে আসছে।
এ/হ