প্রদীপ কুমার বর্মন, কিশোরগঞ্জ :
কিশোরগঞ্জ জেলার চার উপজেলায় সাবরেজিস্ট্রার ছাড়া চলছে। এ চার উপজেলায় কোন সাব-রেজিস্ট্রার নেই। উপজেলাগুলো হলো- হোসেনপুর, নিকলী, তাড়াইল ও কিশোরগঞ্জ সদর। হোসেনপুর উপজেলায় সপ্তাহে দুইদিন, নিকলী উপজেলায় সপ্তাহে দুইদিন, কিশোরগঞ্জ সদরে সপ্তাহে ৫ দিন চালানো হচ্ছে পার্টটাইম সাব-রেজিস্ট্রার দিয়ে। হোসেনপুর উপজেলায় এক বছর যাবত, নিকলী উপজেলায় ছয় মাস যাবত, তাড়াইল উপজেলায় চলছে এক বছর, কিশোরগঞ্জ সদরে দুই মাসের অধিক এভাবে চলছে। কিশোরগঞ্জ সদরে একজন সাব-রেজিস্ট্রারকে বদলীর আদেশ দিয়েছিল আইন মন্ত্রণালয় থেকে। তার নাম মোঃ মিরাজ উদ্দীন। কিন্তু তিনি এখানে না এসে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় বদলী হয়ে গেছেন। সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। অনেক সেবা গ্রহিতা অফিসে এসে দলিল রেজিস্ট্রি করতে না পেরে বাড়ী ফেরত যেতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে দৈনিক আজকের জনবাণী পত্রিকার পক্ষ থেকে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ জেলার রেজিস্ট্রার মোঃ আবু তালেব বলেন, স্বীকার করছি যে, সেবা গ্রহিতাদের কিছুটা দুর্ভোগ হচ্ছে তবে আমি বিষয়গুলি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অনেক আগেই লিখিতভাবে জানিয়েছি এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জানেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলিল করতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং মানুষের দূর্ভোগ বেড়েই চলছে।