• বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ফুলবাড়ীতে মা আমেনা বালিকা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কুরআনের সবক প্রদান দুপচাঁচিয়ায় নাশকতা মামলার বিএনপির কর্মী সহ বিভিন্ন মামলায় ৯ জন আটক গাইবান্ধা-৪ আসনে লাখো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন নৌকার প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে মধ্যরাতে পিকআপে আগুন বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন বগুড়ায় ট্যাপেন্টাডলসহ গ্রেফতার ১ বগুড়ায় ঝোপগাড়ী উদয়ন সংঘের উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা সারিয়াকান্দি মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর সম্পাদক সাহাদত সিরাজগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা কাজিপুরে চার হাজার কৃষক পেলেন প্রণোদনার ধানবীজ ও সার

শ্রীপুরে সাজানো মামলা থেকে অব্যাহতি ও ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার

রিপোর্টারঃ / ১৬৭ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত হয়েছেঃ শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২

গাজীপুর প্রতিনিধি :

মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে সহজেই বিপর্যস্ত হয়ে যায় মানুষের জীবন। অথচ বর্তমানে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই মিথ্যা মামলাকেই।

গাজীপুরের শ্রীপুরে পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে । সাজানো ঘটনায় মামলার আসামি হয়েছেন বাবা ছেলেসহ দুই পরিবারের সাতজন। চলতি মাসের ১০ ডিসেম্বর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের দরগাচালা গ্রামের জিয়াউর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ আকলিমা বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা (এফআইআর নং-১৩) দায়ের করেছেন। মামলার আসামি করা হয়েছে ওই এলাকার মৃত ওছমত আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন ও তার স্ত্রী শিলা বেগম এবং তাদের সন্তান সাগর হোসেন। এছাড়াও উল্লেখিত অপর আসামিরা হলো ভিটিপাড়া গ্রামের আব্দুল বাতেন ও তার স্ত্রী মোছাঃ ফাতেমা এবং তাদের সন্তান ফারুক হোসেন ও মোক্তার হোসেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে সকল আসামিদের বাড়ী দরগাচালা গ্রামে। এছাড়া গত নভেম্বরের ২৬ তারিখ সকাল ১০টার দিকে আলমগীরের বাড়ির সামনে আকলিমাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা এবং মাথার উপরিভাগে ধারালো অস্ত্র দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। পরে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এঘটনায় সংবাদ সংগ্রহে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মারামারি কিংবা হাতাহাতির কোন ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগে উল্লেখ করা তারিখ থেকে ১৪দিন পর অজ্ঞাত কারণেই মামলার আসামি হয়েছেন কয়েকজন নিরপরাধ মানুষ। ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা পঞ্চাশ বছরের বেশি বয়স্ক  আব্দুল করিম, নূরুল হক ও আমেনা খাতুন বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দুই পক্ষের মানুষ। তবে কখনোই মারামারি কিংবা হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি। মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে নিরীহ পরিবারের মানুষকে। এখানে কোন ঘটনা ঘটলে আমাদের দেখার অথবা শুনার কথা। আলমকে পুলিশ ধরার পর আমরা জানতে পেরেছি এবং অবাক হয়েছি।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনায়েত কবীর (বিপি-৮৩১৩১৬৪৩১৩) থানায় মিমাংসার কথা বলে মোবাইলে ডেকে নিয়ে আলমগীর কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানান। ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ঘটনা প্রসঙ্গ কোন কিছুই না জেনে সরেজমিন তদন্ত না করেই এরকম ভিত্তিহীন মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।

মামলায় ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে। কয়েকজন ভিটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা থাকলেও উল্লেখ করা হয়েছে দরগাচালা গ্রাম। বৃদ্ধ নারী পুরুষ সহ একাধিক মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী আকলিমার বিরুদ্ধে। এঘটনায় মামলার বাদী আকলিমাকে বাড়িতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তাদের স্বজন মামলার সাক্ষী জিয়াউর রহমানের বোন তারামা বলেন, মারামারির সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না।খবর পেয়ে আকলিমাকে রিকশায় তুলে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হামলা মারধরের ঘটনায় কোন প্রত্যক্ষদর্শী খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এনায়েত কবীরের সাথে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা এবং তথ্য দিতে রাজি হননি। পরবর্তীতে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন মামলার অভিযুক্তরা। আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যেকোনো মামলা নেয়ার সময় থানা বা আদালতের উচিত প্রাথমিক একটা তদন্ত করা। তদন্ত ছাড়া মামলা হলে এটা নকল মিথ্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কোনো ব্যক্তি থানায় মামলা করতে গেলেন আর থানা মামলা নিয়ে নিলো এমন হওয়া যাবে না, এক্ষেত্রে থানা প্রশাসনের আরও সচেতন হতে হবে। আর প্রশাসন সচেতন বা তারা এর সাথে জড়িত না থাকলেই মিথ্যা মামলা রোধ করা সম্ভব। এবং প্রশাসনের উচিত অতিদ্রুত এসব মামলাবাজ সিন্ডিকেটকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা। তাদের দাবি, বিভিন্ন সময় এমন মামলার কথা শোনা গেলেও দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা যায়নি বলেই দিন দিন এই চক্র আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।


এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন