পাঙ্গাসী (রায়গঞ্জ) থেকে, মোঃ মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান :
সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ৮নং পাঙ্গাসী ইউনিয়নের হাটপাঙ্গাসী বাজার এলাকায় অবস্হিত আধুনিক মানসম্মত শিক্ষার দৃঢ় প্রত্যয়ে মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠেছে মা-বিদ্যানিকেতন এন্ড প্রি-ক্যাডেট একাডেমি।প্রতিস্ঠানটিতে শুরুতেই গুরুত্ব দেওয়া হয় নিয়ম শৃঙ্খলা ও পড়াশোনা দিকে। বেশ সাফল্যও এসেছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিস্ঠার পর থেকে আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অত্র প্রতিস্ঠানের প্রতিস্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক, মোঃ রুহুল আমিন (ওরফে আঃ হালিমকে)। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত সংস্কৃতির চর্চার কারণে উপজেলার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় প্রতিস্ঠানটি ব্যাপক পরিচিত লাভ করেছে। বর্তমানে স্কুলটিতে ২১০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছে ১২ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা। উপজেলার মা-বিদ্যানিকেন এন্ড প্রি-ক্যাডেট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন (ওরফে আঃ হালিম) জানান, ২০০৭ সালে মাত্র ৭৬ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে স্কুলটির যাত্রা শুরু করেন। শিক্ষার মান নিয়ে তিনি কখনো আপস করেননি। শিক্ষক নিয়োগ ক্ষেত্রে মেধাবীদের অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সুন্দর ও মনোরোম পরিবেশে পাঠদানের সুবিধা। প্রধান শিক্ষ মোঃ রুহুল আমিন (ওরফে আঃ হালিম) এর সাথে কথা হলে তিনি আরও জানান, কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলা, শতভাগ উপস্থিতি, নিয়মিত ক্লাস, বছর শেষ হওয়ার আগেই সিলেবাস শেষ করানো, সীমিত আসন সংখ্যা, মেধা যাচাইয়ের জন্য নিয়মিত পরীক্ষার ব্যবস্থা, অপেক্ষাকৃত দুর্বলতা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করাই হচ্ছে তার প্রধান লক্ষ। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন (ওরফে আঃ হালিম) আরো বলেন, তাদের কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়তে হয় না। ক্লাসের মাধ্যমেই ছাত্র-ছাত্রীদের সকল সমস্যার সমাধান করা হয়। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে বিনামূল্য শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে শ্রেণী কক্ষে, বর্ণমালা, জাতীয় পতাকা, স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার, ভাষা শহীদ, বীর শ্রেষ্ঠদের পরিচিতি তুলে ধরা হয়ে থাকে। স্কুল প্রাঙ্গণ সাজানো হয়েছে সবুজের সমারোহ দিয়ে।
এতে শোভা পাচ্ছে বাহারি জাতের ফুল, ফল, বনজ ও ঔষধি গাছ। নিয়মিত শরীর চর্চা পাশাপশি ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে বিজ্ঞান মেলা ও চিত্রাঙ্কন, বিতর্কসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়ে থাকে। এদিকে বেশ কয়েক জন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলা, নিয়মিত পড়াশোনা ও শিক্ষকদের আন্তরিকতার কারণে প্রতি বছরই তারা ভালো রেজাল্ট করতে পারছে। সেই সঙ্গে সন্তানদের ধারবাহিকভাবে ভালো ফলাফলে অভিভাবকরাও সন্তুষ্ট বলে জানান একাধিক অভিভাবকগণও।
সবার আন্তরিকতা ও সার্বিক সহযোগিতা পেলে পঞ্চম শ্রেণী থেকে অস্টম শ্রেণীতে রূপান্তরিত করতে চান অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিস্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন (ওরফে আঃ হালিম)। উল্লেখ্য, আসছে ৩০ শে ডিসেম্বর ২০২২ থেকে অত্র প্রতিস্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করানো হবে। যা আগামী ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।