• বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ফুলবাড়ীতে মা আমেনা বালিকা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কুরআনের সবক প্রদান দুপচাঁচিয়ায় নাশকতা মামলার বিএনপির কর্মী সহ বিভিন্ন মামলায় ৯ জন আটক গাইবান্ধা-৪ আসনে লাখো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন নৌকার প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে মধ্যরাতে পিকআপে আগুন বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন বগুড়ায় ট্যাপেন্টাডলসহ গ্রেফতার ১ বগুড়ায় ঝোপগাড়ী উদয়ন সংঘের উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা সারিয়াকান্দি মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর সম্পাদক সাহাদত সিরাজগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা কাজিপুরে চার হাজার কৃষক পেলেন প্রণোদনার ধানবীজ ও সার

সরিষা ফুলে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ খামারীরা

রিপোর্টারঃ / ২০৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত হয়েছেঃ শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২

সাব্বির মির্জা, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা :

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এখন হলুদের সমারোহ। সরিষা ফুলের রূপ ও গন্ধে মাতোয়ারা চারিদিক। প্রতিবছরের মতো এবারো সরিষা খেত থেকে মধু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌ খামারীরা।

উপজেলার বিভিন্ন মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরিষা খেতের পাশে ফাঁকা জমিতে পোষা মৌমাছির শত শত বাক্সে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মৌমাছিরদল ভু ভু শব্দ করে সরিষা ফুলে ঘুরে ঘুরে মধু আহরণ করছে। মুখভর্তি মধু সংগ্রহ করে ফিরে যাচ্ছে মৌ খামারীদের মৌবাক্সে।

সেখানে তাদের সংগৃহীত মধু জমা করে আবার ফিরে যাচ্ছে সরিষার জমিতে। এভাবে দিনব্যাপী মৌমাছিরা যেমন মধু সংগ্রহ করছে। তেমনি ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াতে গিয়ে ওই জমির সরিষা ফুলে পরাগায়ণ করতে সহায়তা করছে মৌমাছির দল।

মৌ খামারীরা জানায়, একটি বাক্সে ৮-১০টি মোম দিয়ে তৈরি মৌচাকের ফ্রেম রাখা হয়। আর মৌ বাক্সের ভেতরে রাখা হয় রাণী মৌমাছি। ফুল থেকে মৌমাছিরা মধু এনে বাক্সের ভেতরের চাকে জমা করে। রাণী মৌমাছির কারণে ওই বাক্সে মৌমাছিরা আসতে থাকে। বাক্সের মাঝখানে নিচের দিকে ছিদ্র করে রাখা হয়। সে পথ দিয়ে মৌমাছিরা আসা-যাওয়া করতে থাকে। বাক্সের ভেতরের চাকগুলো মধুতে পরিপূর্ণ হতে সময় লাগে ১০ থেকে ১২ দিন। এরপর মধু চাষিরা বাক্স খুলে চাকের ফ্রেম থেকে মেশিনের সাহায্যে মধু সংগ্রহ করে।

পঞ্চগড় জেলার ঝিটকিখুড়া গ্রাম থেকে আসা মৌ খামারী সেলিম রেজা বলেন, আমরা ৬ ডিসেম্বর তাড়াশ উপজেলার দিঘীসগুনা গ্রামে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহের জন্য এসেছি। আশাকরি ভালো পরিমাণ মধু সংগ্রহ করতে পারব।

সরিষা ফুলের জন্য আমরা বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ, কালোজিরা ফুলের জন্য শরীয়তপুর, লিচু ফুলের জন্য দিনাজপুর ও নাটোর, কুমড়া ফুলের জন্য ঠাকুরগাঁও এবং তিলের ফুলের সময় নিজ এলাকাতেই মধু সংগ্রহ করি। এছাড়া ৪-৫ মাস মৌমাছিদের চিনি খাইয়ে রাখতে হয়। বছর শেষে খরচ বাদে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যে সকল সরিষা খেতে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে সেই জমিগুলোতে অন্য জমির তুলোনায় ১৫-২০ ভাগ ফলন বেশি হবে। কারণ মৌমাছিরা ফুলে পরাগায়ণ করতে সহায়তা করে। এছাড়া এলাকাবাসী অল্পমূল্যে খাঁটি মধু পাচ্ছে।


এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন