সাব্বির মির্জা, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা :
সিরাজগঞ্জের তাড়াশের উলিপুর পাচান দাখিল মাদ্রাসার বার্ষিক পরিক্ষায় এক শ্রেণীতে ৪ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আছেন মাদ্রাসাটির ১০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। মাদ্রাসাটিতে কাগজে কলমে বেশি বেশি শিক্ষার্থী দেখানো হলেও বাস্তবে তার কোন অস্তিতই পাওয়া যায়নি। সরেজমিনে রবিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে মাদ্রাসায়টিতে গিয়ে দেখা যায়, নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় ২ জন ছাত্র আর ২ জন ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছেন। তাও আবার একই বেঞ্চে গাদাগাদি করে বসে। সঙ্গে ছিল পরীক্ষার বিষয় বস্তুর বইটিও। পরীক্ষা কেন্দ্রের কক্ষে নেই কোন শিক্ষকও। শিক্ষকের খোঁজ করে দেখা গেল অফিস কক্ষে ৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা বসে খোস গল্পে মেতে আছেন।
অফিস কক্ষেই শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এবারে তাঁদের মাদ্রাসায় নবম শ্রেণীতে মোট ২৮ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। তবে কাগজে কলমে ২৮ জন থাকলেও বাস্তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে এমন উপস্থিতি কেন জানতে চাইলে তার কোন সদত্তর কেউ দিতে পারেনি। এদিকে তাঁরা বলছে, ১০ জন শিক্ষক নাকি আজ মাদ্রাসায় উপস্থিত আছে। যদিও বা পাওয়া গেল মাত্র ৭ জন শিক্ষককে। তার মধ্যে কেউ কেউ আবার তাড়াশ বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় গেছে। এদিকে মাদ্রাসাটিতে ভারপাপ্ত সুপার হিসেবে আইয়ুব আলী দায়িত্বে থাকলেও তাঁকে সময়মতো মাদ্রাসায় পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল নম্বরে একাধিক বার ফোন করলেও সে রিসিভ করেন নি। বিষয়টি উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. নুরুন্নবীকে জানালে তিনি বলেন, আমি নিজেও একাধিক বার পরিদর্শন করে তাদের ছাত্র-ছাত্রী বাড়ানোর জন্য তাগিদ দিয়েছি। কিন্ত তাঁরা এ বিষয়ে চরম উদাসিন। তাঁদের এমন আচরণ চরম দুঃখজনক। আমি ঊর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবাউল করিম বলেন, আমি বিষয়টি জানলাম সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে এমনটা হলে তা দুঃখজনক।