অনলাইন ডেক্স: অন্ধ ছাত্র হয়েছেন কোরআনের হাফেজ। হাফেজ ছাত্ররা হলেন: মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত, ইমাম হাসান, আশেকে এলাহী ও মোহাম্মদ সোহেল। লক্ষ্মীপুর শহরের আবদুল গণি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্রেইল হাফিজিয়া ও ফোরকানিয়া মাদরাসার ছাত্র তারা।
এ মাদরাসায় বিনা-খরচে থাকা-খাওয়া, চিকিৎসা ও লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা।
কোরআনের তাফসীর ও হাদিসগ্রন্থগুলো নিয়ে গত ৪ বছর ধরে পড়ালেখা করছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজ ইমাম হাসান এবং ইয়াছিন আরাফাত। সব ঠিক থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই তারা হয়ে উঠবেন আল কুরআনের তাফসীরকারক। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজ ইমাম হাসান বলেন, যাদের চোখ আছে তারা নিয়মিত কোরআন পড়ে
মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা উচিত। আর যারা কোরআন পড়তে পারেন না, তারা কোরআন পড়া শিক্ষা উচিত।দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী জহিরুল ইসলাম বলেন, অনেকেই মনে করেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী অর্থাৎ অন্ধরা ভিক্ষা ছাড়া কিছু পারে না। কিন্তু রাসূল (সা:) বলেছেন, ‘কোরআন মাজীদ শিক্ষা করা সর্বোত্তম ইবাদত।
আর যিনি কোরআন শিখে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয় তিনি সবচেয়ে উত্তম।’ নবীর কথা অনুসরণ করে আমরা মাত্র তিনজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছাত্রকে নিয়ে এ মাদরাসায় কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করি। প্রথমে শুনে শুনে কোরআন শিখলেও পরবর্তীতে ব্রেইল পদ্ধতিতে কোরআন শিখতে শুরু করে ছাত্ররা।
এ মাদরাসায় ভর্তি হতেও কোনো টাকা লাগে না। বর্তমানে এখানে ২০ জন ছাত্র পড়া-লেখা করলেও ৬০ থেকে ৭০ জনের আবাসিকে থেকে পড়া-লেখার সুযোগ রয়েছে।